উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। যা গতবারের চেয়ে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ কম।

রবিবার প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার কম এসেছে। এদিকে কোনো শিক্ষার্থী আশানুরূপ ফল আসেনি মনে করলে খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ করতে পারেন।

ফল পুনঃনিরীক্ষণ করবেন যেভাবে

২৪ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। তবে শুধুমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক সংযোগ থেকে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে।

ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর-PIN) দেয়া হবে।

আবেদনে সম্মত থাকলে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য দেড়শ’ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে। যে সব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে যে সকল বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করলে দুটি পত্রের জন্য মোট ৩০০ টাকা ফি কাটা হবে।

একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, এক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে ‘কমা’ দিয়ে লিখতে হবে।

সঠিক পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়ন করাই পাসের হার কমার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, তবে কোনো শিক্ষার্থী আশানুরূপ ফল আসেনি মনে করলে অবশ্যয় খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করতে পারবে।

এ বছর মোট পাস করেছেন ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৯৪২ জন পরীক্ষার্থী।

এর মধ্যে সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাস করেছেন ৭২ শতাংশ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭০০ জন। বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ২৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৮১৫ জন। এছাড়া রাজশাহী বোর্ডে এবার পাসের হার ৭১ দশমিক ৩০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ২৯৪ জন।

যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ০২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪৭ জন। ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৬৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯৩০ জন। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৬৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৯৮৭ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৬১ দশমিক ০৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৩৯১ জন। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।

মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ২০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৮১৫ জন। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৯ জন।